সর্বশেষ

3/recent/ticker-posts

seerat un nabi sallallahu alaihis salam - হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সিরিয়ার প্রথম সফর

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিরিয়ার প্রথম সফর:

নবীজী ﷺ এর বয়স ১২ বছর। নবীজীর  চাচা আবু তালিব ব্যবসার জন্য সিরিয়া ( Syria ) যাওয়ার ইচ্ছা করেন। 

সফরের কষ্ঠের কথা ভেবে কিশোর মুহাম্মদ ﷺ কে প্রথমে না  নেয়ার ইচ্ছা করেন কিন্তু  ইয়াতিম বাতিজার চেহারায় মলিনতার চাপ দেখে সাথে নিয়ে নেন।

সিরিয়া যাওয়ার পথে ইরাকের বসরা নামক স্থানে আবু তালিবের কাফেলা বিশ্রামে জন্য যাত্রা বিরতি করে। 

এ এলাকায় বাহিরা/ বুহায়রা নামক পূর্ববর্তী কিতাবের এক পন্ডিত বসবাস করতেন। যার আসল নাম জারজীস। তিনি সাধারণত আস্তানা থেকে বের হতেন না। কিন্তু আবু তালিবের ব্যবসায়ী কাফেলার খবর পেয়ে ঠিকিই বের হলেন এবং কাফেলা প্রতেক সদস্যকে এক এক করে দেখেন,যখন পিয়ারা নবীজি ﷺ কে দেখে হাত ধরে বলতে থাকেন- “ এনিই সমগ্র জগতের নেতা,এনিই বিশ্বপ্রতিপালক এর রাসূল,যাকে তিনি জগতবাসীর জন্য রহমত সরূপ পাঠিয়েছেন”

কুরাইস নেতারা দরবেশকে প্রশ্ন করলো - আপনি কিভাবে বুঝলেন ?

উত্তরে দরবেশ বলল- আপনারা যখন নিজ নিজ অবস্থানস্থল থেকে বের হয়েছিলেন,তখন রাস্তার পাশে থাকা গাছ-পালা,তরুলতা ইত্যাদি নত হয়েছেে, আর এমনটা নবীদের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। তাছাড়া  তার দুই বাহুর মাঝে মোহরে নবুওয়াত রয়েছে,তা দেখেও চেনা যায়।


seerat un nabi,sallallahu alaihis salam,সিরাতুন্নবী সাঃ, নবিজীর সিরাত, সিরাতে মোস্তফা, সিরিয়া ম্যাপ, syeia map,syeia

রাসূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم এর সৌজন্যে দরবেশ কুরাইশ কাফেলার মেহদাদীর মেহমানদারীর ব্যবস্থা করলেন। 

খাবার গ্রহণের সময় হয়। দরবেশ দেখল,এখানে সবাই আছে কিন্তু রাসূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم  উপস্থিত নেই। রাসূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم  তখন উট চড়াতে গিয়েছিলেন। আল্লাহর রাসূল ( সাঃ ) উপস্থিত হয়ে দেখেনে- গাছের সবটুকু ছায়ায় সবাই বসে আছে। নবিজী ছায়া ছাড়া এক পাশে বসতেই গাছ তার ছায়াকে নবীজির উপর করে দেয়। সুবহানাল্লাহ

দরবেশ সবাইকে বলল, আপনারা সবাই গাছের প্রতি লক্ষ করুন,কিভাবে তা নিজ ছায়াকে বিস্তার করে দিয়েছে। এরপর দররেশ দাড়িয়ে কসম করে বলল- আপনারা কখন ই তাকে রোমের দিকে নিয়ে যাবেন না। রূমবাসী তাকে দেখে চিনে ফেলবে এবং হত্যা করে বসবে আর আল্লাহর রাসূল sallallahu alaihis salam এর চাচা আবু তালিবকে বলল- আপনি তাকে দ্রত ফেরত পাঠিযে দিন। আবূ তালিব তাঁকে আবু বকর ও বেলালকে দিয়ে রাসূলুল্লাহ sallallahu alaihis salam কে মক্কায় ফেরত পাঠান।


হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিলফুল ফুজুল সংঘ: 

What is Hilful Fuzul in Islam?


কিশোর বয়সে হযরত মুহাম্মদ সাঃ মানুষের সেবায় খুবই তৎপর ছিলেন। ঝগড়া ফাসদা হলে তা মীমাংসা করার জন্য তৎপর থাকতেন।

৫৮৫  খৃস্টাব্দে মক্কার বড় ওকাজ নামক বাজারে কুরাইস ও বনু কয়েস এর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়,যার সমাপ্তী ঘটে ৫৯০ খৃস্টাব্দে। এতে কুরাইশের অনেকের প্রাণ নাশ হয়।

এসব ঝগড়া বিবাদ সহ বিভিন্ন জুলুম-অন্যায়ের বিরুদ্বে রুখে দাড়াতে ৫৯০ খৃস্টাব্দে  সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এ সংগঠনের বিশিষ্ট সদস্য ছিলেন- ফজল ইবনে উদায়া,ফজল ইবনে ফুজালা ও ফজল ইবনে হারিস ছিলেন।

তাদের নামের সাথেই মিল রেখে আল্লাহর রাসূল ( সাঃ ) নাম রাখেন- হিলফুল ফুজুল (আরবি: حلف الفضول‎‎) 

হিলফুল ফুজুল হচ্ছে ইতিহাসের প্রথম শান্তি সংঘ ।











Post a Comment

0 Comments