করোনা মহামারী কখন দূর হবে!
বিশ্বে করোনা মহামারী সহ অনেক রোগ-ব্যধি আছে,যা নবিজী ও সাহাবাদের সময়া ছিলোনা।এসব রোগ ব্যধি আমাদের গোনাহের ফলাফল।যেমন আল্লাহ তা’য়ালা সূরা রুমের একচল্লিশতম আ্য়াতে বলেন:
ظهر الفساد في البر والبحر بما كسبت أيدي الناس ليذيقهم بعض الذي عملوا لعلهم يرجعو
“জলে-স্থলে বিপর্যয় প্রকাশ পেয়েছে, মানুষের কৃতকর্মের কারণে, যাতে তিনি তাদেরকে তাদের কিছু কৃতকর্মের ফল ভোগ করাবেন, সম্ভাবত তারা ফিরে আসবে”। (সুরা রোমঃ ৪১)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তা’য়ালা বলেন:
وما أصابكم من مصيبة فبما كسبت أيديكم ويعفو عن كثير.
“তোমরা যে বিপদের শিকার হয়েছ তা তোমাদের কৃতকর্মের কারণে, আর তিনি অনেক কিছু ক্ষমা করে দেন”। (সুরা শুরাঃ ৩০)
ইবনে মাযাহ শরিফের বর্ণনা:
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَبُو أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ أَقْبَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ " يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ خَمْسٌ إِذَا ابْتُلِيتُمْ بِهِنَّ وَأَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ تُدْرِكُوهُنَّ لَمْ تَظْهَرِ الْفَاحِشَةُ فِي قَوْمٍ قَطُّ حَتَّى يُعْلِنُوا بِهَا إِلاَّ فَشَا فِيهِمُ الطَّاعُونُ وَالأَوْجَاعُ الَّتِي لَمْ تَكُنْ مَضَتْ فِي أَسْلاَفِهِمُ الَّذِينَ مَضَوْا . وَلَمْ يَنْقُصُوا الْمِكْيَالَ وَالْمِيزَانَ إِلاَّ أُخِذُوا بِالسِّنِينَ وَشِدَّةِ الْمَؤُنَةِ وَجَوْرِ السُّلْطَانِ عَلَيْهِمْ . وَلَمْ يَمْنَعُوا زَكَاةَ أَمْوَالِهِمْ إِلاَّ مُنِعُوا الْقَطْرَ مِنَ السَّمَاءِ وَلَوْلاَ الْبَهَائِمُ لَمْ يُمْطَرُوا وَلَمْ يَنْقُضُوا عَهْدَ اللَّهِ وَعَهْدَ رَسُولِهِ إِلاَّ سَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ غَيْرِهِمْ فَأَخَذُوا بَعْضَ مَا فِي أَيْدِيهِمْ . وَمَا لَمْ تَحْكُمْ أَئِمَّتُهُمْ بِكِتَابِ اللَّهِ وَيَتَخَيَّرُوا مِمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ إِلاَّ جَعَلَ اللَّهُ بَأْسَهُمْ بَيْنَهُمْ
“হে মুহাজির সম্প্রদায়, তোমাদের মধ্যে পাঁচটি জিনিস দেখা দিলে (পাঁচটি আযাবের আশংকায় থেকো) – আর আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থণা করি যাতে তোমরা এই অবস্থার সম্মুখীন না হওঃ
যখন কোন সম্প্রদায়ের মধ্যে অশ্লীলতা প্রকাশ পায় এবং তা তাদের মাঝে প্রকাশ্য হয়ে যায়, তখন তাদের মধ্যে এমন মহামারী ও রোগ-ব্যাধি প্রকাশ পায় যা তাদের পুর্ববর্তীদের মধ্যে ছিল না
যখন কোন সম্প্রদায় ওজনে কম দিতে অভ্যস্ত হয়ে যায়, তখন তাদের উপর দুর্ভিক্ষ, জীবনযাপনের কষ্ট ও ক্ষমতাশীলদের অত্যাচার নেমে আসে
যখন কোন সম্প্রদায় যাকাত দিতে অস্বীকার করে তখন তারা আসমানের বৃষ্টি থেকে মাহরুম হয়, যদি পশু-পাখি ও চতুষ্পদ জন্তু না থাকত তাহলে তাদের উপর এক ফোঁটা বৃষ্টিও হত না
যখন কোন সম্প্রদায় আল্লাহর অঙ্গীকার ও তাঁর রাসুলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে তখন আল্লাহ তায়ালা তাদের উপর এমন শত্রু চাপিয়ে দেন যারা তাদের হাতের সম্পদ ছিনিয়ে নেয়
যখন কোন সম্প্রদায়ের শাসকগণ আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী শাসন করে না, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তা গ্রহণ করে না তখন আল্লাহ তায়ালা তাদের মধ্যে সমস্যা তৈরি করে দেন
(হাদীসটি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত, ইমাম ইবনে মাজাহ উল্লেখ করেছেন)
বস্তুত, আমাদের অপরাধের কারণে আল্লাহ তা’য়ালা দুনিয়াতেই আমাদের কিছু কৃতকর্মের শাস্তি দেন যাতে করেে আমরা সঠিক পথে ফিরে কঠোর শাস্তি জাহন্নামের আগুন থেকে বাঁচতে পারি। আর এটা আমাদের প্রতি আল্লাহ তায়ালার ভালোবাসা।আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে বান্দাকে শাস্তি দেওয়ার দৃষ্টান্ত হলো: দুনিয়ার মধ্যে যখন প্রেমিকের মতানুসারে প্রেমিকা চলাফেরা করেনা তখন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে বকাঝকা করে শাস্তি দেয় যাতে সে তার অবাধ্য না হয়,এর এটা তার প্রতি মুহাব্বাত থাকার কারণে ই হয়ে থাকে।
আমাদের করণীয়ঃ
প্রখমেই সাস্থ মেনে করোনার ঠিকা গ্রহণের সাথে সাথে অবশ্যই হাদিসে বর্ণিত গোনাহ আমাদেরকে পরিত্যাগ করে আল্লাহ তা’য়ালার নিকট তাওবা করতে হবে একনিষ্ঠ হয়ে।শুধু সাস্থবিধি অনুসারে চলাফেরা করলাম কিন্তু গোনাহে লিপ্ত! তাহলে আমাদের থেকে এ মহামারী দূরিভূত হওয়াটা অসম্ভব হয়ে যাবে। তাই আসুন,সাস্থবিধি মেনে চলি এবং আল্লাহ তা’য়ালার নিকট তাওবা করি।
0 Comments