এ মাসের প্রথম তারিখে বিশ্বব্যাপী পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়।তাছাড়া এ তারিখেই ঈদের নামাজের পূর্বে সামর্থ্যবানদের উপর সাদকাতুল ফিতর ওয়াজিব হয়।
হজ্বের তিন মাসের একটি হলো শাওয়াল । কেননা হজ্বের প্রস্তুতি শাওয়াল থেকেই শুরু হয়।
ইসলামের পঞ্চম রুকুন যাকাত এ মাসটির সাথে সম্পর্ক রাখে।কেননা চন্দ্র বৎসরের শেষ পর্যায়ের মাস।আর অধিকাংশ লোকের যাকাতের হিসাব রমজানে শেষ করে শাওয়াল মাসে দিয়ে থাকেন।
এ মাসটির প্রসিদ্ধ হচ্ছে ছয়টি নফল রোজা রাখা।
🔵শাওয়ালের ছয় রোজা
এই মাসে ছয়টি নফল রোজা রাখা সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেন: যারা রমজানে রোজা পালন করবে এবং শাওয়ালে আরও ছয়টি রোজা রাখবে; তারা যেন সারা বছরই রোজা পালন করল।
মুসলিম, হাদিস: ১১৬৪; আবু দাউদ, হাদিস: ২৪৩৩; তিরমিজি, নাসায়ি, ইবনে মাজাহ, ।
শাওয়াল মাসের এ ছয়টি রোজা মূলত সুন্নত। যেহেতু রাসুল (সা.) নিজে তা আমল করেছেন এবং আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু পরিভাষায় এগুলোকে নফল রোজা বলা হয়। কারণ, এগুলো ফরজ ও ওয়াজিব নয়, অতিরিক্ত তথা নফল।
🔵কীভাবে রাখবেন ছয় রোজা:
হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) শাওয়াল মাসের ভেতর ছয় রোজা রাখার কথা বলেছেন। মাসের প্রথম দিকে, মধ্যভাগে না শেষাংশে সে কথা হাদিসে উল্লেখ নেই। আবার ছয়টি রোজা একসঙ্গে লাগাতার রাখতে হবে, না-কি বিরতি দিয়ে রাখতে হবে, সে কথারও কোন উল্লেখ নেই। তাই বিজ্ঞ ফকীহ ও আলিমগণের অভিমত হলো, যেহেতু শাওয়াল মাসের প্রথম দিন মুসলিম উম্মাহর জাতীয় উৎসব এবং ওই দিনে রোজা রাখা হারাম, সেহেতু ঈদুল ফিতরের দিনটি বাদ দিয়ে মাসের যে কোনো ছয়দিনে রোজা রাখলেই উল্লিখিত সওয়াব লাভ করা যাবে।
এই আরবি শাওয়াল মাসের অর্থাৎ প্রথমদিকে, মাঝামাঝি দিনগুলোতে অথবা শেষদিকে, আবার একাধারে ছয়দিন অথবা একদিন রোজা রেখে তারপর একদিন বা দু’দিন বিরতি দিয়ে আবার একদিন যে কোনোভাবে রোজা রাখা যাবে। শাওয়াল মাসের মধ্যে ছয়টি রোজা রাখলেই হাদিসে বর্ণিত সওয়াব পাওয়া যাবে, ইনশাল্লাহ।
লেখক:
ইকবাল হুসাইন ইলামপাড়ী
E-mail: iqbalmisbahbd@gmail.com


0 Comments